চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচরের ছিকলঘাট বেইলী সেতুর মাঝখানে হঠাৎ করে ধসে পড়েছে।
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :;
চকরিয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে ধসে পড়েছে ছিকলঘাট বেইলী সেতুটি। সেতুর মাঝখানে ধসে পড়ার কারনে বর্তমানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার কারনে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শতবছর আগে নির্মিত উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট এলাকার বেইলী সেতুটি প্রায় ৮-১০বছর আগে থেকে যানবাহন চলাচলে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোরে ভারী যানবাহন চলাচল করার ফলে সেতুর মাঝখানের অংশ মাটিতে ধসে পড়েছে। এ অবস্থার কারনে সেতুটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল বর্তমানে চরম ঝুঁিকপুর্ণ হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম বলেন, ১৫-২০বছর আগে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সকল ধরণের যানবাহন সেতুটি দিয়ে চলাচল করতো। পরে জিদ্দাবাজার অংশে নতুন সড়ক চালু হলে ছিকলঘাট বেইলী সেতুটি প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তারপরও লক্ষ্যারচর এবং কৈয়ারবিল ইউনিয়নের সর্বসাধারণ এবং চকরিয়া কলেজ ও আমজাদিয়া মাদরাসার হাজারো শিক্ষার্থীরা সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন নিরাপদে চলাচল করে আসছে। কিন্তু কয়েকবছর ধরে সেতুটির অবস্থায় নড়েবড়ে হয়ে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোরে ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে সেতুটির মাঝখানে ধসে পড়েছে। তিনি বলেন, জনসাধারণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে অবিলম্বে বেইলী সেতুটি মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন। এই সেতুটি মেরামত বা পুর্ননির্মাণ করা হলে নতুন করে অন্য স্থানে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন নেই। কারণ বেইলী সেতুটি লাগোয়া নতুন অপর একটি সেতু করা হলে সরকারকে সেতুর পাশাপাশি তার জন্য এপ্রোচ সড়কও তৈরী করতে হবে। তাতে সরকারের ব্যাপক অর্থ অপচয় হবে।
চকরিয়া সড়ক উপ-বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ এহেছান বলেন, ছিকলঘাট বেইলী সেতুটি ধসে পড়ার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সেখানে পৌঁছে সেতুর দুই পাশে সর্তকর্তা জারি করে ভারী লাল পতাকা ও সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। মাস দুয়েক আগে সেতুটি মেরামত বা পুর্ননির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সিদ্বান্তের আলোকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত: